কাজী নজরুল ইসলামের ছোটদের কবিতা
হ্যালো ভিউয়ার আসসালামু আলাইকুম । আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কয়েকটি ছোটদের কবিতা তুলে ধরব। কাজী নজরুল ইসলাম হচ্ছেন একজন বিদ্রোহী কবি । কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি বলা হয়। তার অনেক কবিতাই বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করার জন্য । তিনি তার কবিতা দিয়ে লিখে গেছেন বিদ্রোহের চেতনা । যা বাঙালিদেরকে আরো যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে । তিনি অনেক ছোড়া কবিতাও লিখে গেছেন । তাই আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলাম ছোটদের নিয়ে যে সকল কবিতা লিখে গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকটি কবিতা তুলে ধরবো।
অনেকেই আছেন যারা ছোটদের কবিতা সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন । কারণ অনেকেই এ সকল কবিতা যেকোনো অনুষ্ঠানে আবৃতি করে থাকেন । আশা করছি তারা খুব সহজেই আমাদের পোস্টের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের এ সকল ছোটদের কবিতা গুলি পেয়ে যাবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কাজী নজরুল ইসলামের ছোটদের কবিতা সম্পর্কে ।
কাজী নজরুলের ছোট কবিতা
আপনি কি কাজী নজরুল ইসলামের ছোটদের কবিতা এবং ছোট কবিতা সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন । তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম । এখন আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের কিছু ছোটদের কবিতা তুলে ধরবো । যারা কাজী নজরুল ইসলামের এ সকল ছোটদের কবিতা পেতে চান বা জানার জন্য অনলাইনে খুঁজে বেড়াচ্ছেন । আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি থেকে কাজী নজরুল ইসলামের এ সকল কবিতা পেয়ে যাবেন । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কাজী নজরুল ইসলামের ছোটদের কবিতা গুলো সম্পর্কে ।
দিদির বে’তে খোকা
কাজী নজরুল ইসলাম
সাত ভাই চম্পা জাগো
পারুলদি ডাক্ল না গো?
একি ভাই, কাঁদ্চ?মা গো
কি যে কয় আরে দুত্তুর!
পারায়ে সপ্ত–সাগর
এসেছে সেই চেনা–বর?
কাহিনীর দেশেতে ঘর
তোর সেই রাজপুত্তুর?
মনে হয়, মণ্ডা মেঠাই
খেয়ে জোর আয়েশ মিটাই!
ভাল ছাই লাগ্ছে না ভাই,
যাবি তুই একেলাটি!
দিদি, তুই সেথায় গিয়ে
যদি ভাই যাস্ ঘুমিয়ে,
জাগাব পরশ দিয়ে
রেখে যাস সোনার কাঠি।
আমি যদি বাবা হতাম, বাবা হত খোকা
কাজী নজরুল ইসলাম
আমি যদি বাবা হতুম, বাবা হত খোকা,
না হলে তার নামতা,
মারতাম মাথায় টোকা ||
রোজ যদি হত রবিবার !
কি মজাটাই হত যে আমার !
কেবল ছুটি ! থাকত নাক নামতা লেখা জোকা !
থাকত না কো যুক্ত অক্ষর, অংকে ধরত পোকা ||
খাঁদু–দাদু
কাজী নজরুল ইসলাম
অ মা! তোমার বাবার নাকে কে মেরেছে ল্যাং?
খ্যাঁদা নাকে নাচ্ছে ন্যাদা—নাক্ ডেঙাডেং ড্যাং।
ওঁর নাক্টাকে কে কর্ল খ্যাঁদা র্যাঁদা বুলিয়ে?
চাম্চিকে–ছা বসে যেন ন্যাজুড় ঝুলিয়ে!
বুড়ো গরুর টিকে যেন শুয়ে কোলা ব্যাং!
অ মা! আমি হেসে মরি, নাক ডেঙাডেং ড্যাং!
ওঁর খ্যাঁদা নাকের ছেঁদা দিয়ে টুকি কে দেয় ‘টু’!
ছোড়্দি বলে সর্দি ওটা, এ রাম! ওয়াক্! থু!
কাছিম যেন উপুড় হয়ে ছড়িয়ে আছেন ঠ্যাং!
অ মা! আমি হেসে মরি, নাক ডেঙাডেং ড্যাং!
খোকার খুশি
কাজী নজরুল ইসলাম
কি যে ছাই ধানাই–পানা
সারাদিন বাজ্ছে শানাই,
এদিকে কারুর গা নাই
আজি না মামার বিয়ে!
বিবাহ! বাস্, কি মজা!
সারাদিন মণ্ডা গজা
গপাগপ খাও না সোজা
দেয়ালে ঠেসান্ দিয়ে।
তবু বর হচ্ছিনে ভাই,
বরের কি মুশকিলটাই
সারাদিন উপোস মশাই
শুধু খাও হরিমটর।
শোনো ভাই, মোদের যবে
বিবাহ করতে হবে
বিয়ে দাও বলব, তবে
কিছুতেই হচ্ছিনে বর!
সত্যি, কও না মামা
আমাদের অম্নি জামা
অম্নি মাথায় ধামা
দেবে না বিয়ে দিয়ে?
মামি–মা আস্লে এ ঘর
মোদেরও করবে আদর?
বাস্, কি মজার খবর!
আমি রোজ করব বিয়ে।।
সর্বশেষ কথা,
আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা কয়েকটি ছোটদের কবিতা তুলে ধরেছি । অনেকেই আছেন যারা কাজী নজরুল ইসলামের এ সকল ছোটদের কবিতা সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন । আশা করছি তাহলে আপনারা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন । এ ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন । আমাদের ওয়েব সাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ।