জীবনানন্দ দাশের উক্তি, বাণী ও কিছু কথা | জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত উক্তি
হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম । আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি, বানি ও কিছু কথা তুলে ধরব । কবি জীবনানন্দ দাসের জন্ম ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি । তিনি বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন । তবে কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম নিয়ে একটু বিতর্ক রয়েছে অনেকে ধারণা কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে বামন কাটি গ্রামে তার জন্ম । তবে একটি চিঠিতে কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেন তার জন্য বরিশালে । এ বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক থেকেই যায় । তিনি ছিলেন একজন আধুনিক কবি । কারণ তার কবিতাগুলোতে ছিল আধুনিকতার ছোঁয়া । যা মানুষকে পরিবর্তন করে তুলেছে ।
তার কবিতার প্রভাব নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে ।তিনি হচ্ছেন একজন প্রেমের কবি রূপসী বাংলা নিয়ে তিনি নানা ধরনের কবিতা লিখে গেছেন। তার কবিতা গুলো পড়লেও দেশ প্রেম জাগ্রত হয় । তার প্রত্যেকটি কবিতায় এবং উপন্যাসে অনেক কিছু শেখার রয়েছে । তিনি নানা ধরনের উক্তি করে গেছেন । তার করা উক্তিগুলো থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখা রয়েছে । তাই আজকে আমি আমার পোস্ট এর মাধ্যমে জীবনানন্দ দাশের উক্তি বাণী ও কিছু কথা তুলে ধরব । আপনারা যারা কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি বাণীও কিছু কথা সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন । আশা করছি তাহলেই আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন ।
কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি
আপনি কি কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন । তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম । কারণ আজকে আমি আমার পোস্ট এর মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি তুলে ধরব । আপনারা যারা কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত উক্তি গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন । কারণ আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত সব উক্তি তুলে ধরব। যেন আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের এই উক্তিগুলো থেকে উপকৃত হতে পারেন । তিনি ছিলেন একজন আধুনিক কবি তার আধুনিকতার চাওয়া যেন আপনাদের জীবনকে আরো এগিয়ে নিতে পারে । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি সম্পর্কে ।
কী কথা তাহার সাথে? তার সাথে
আকাশের আড়ালে আকাশে
মৃত্তিকার মতো তুমি আজ,
তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে।
জীবনানন্দ দাশ
জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি কুড়ি বছরের পার-
তখন আবার যদি দেখা হয় তোমার আমার! কুড়ি বছর পরে
জীবনানন্দ দাশ
আবার আকাশের অন্ধকার ঘন হয়ে উঠেছে :
আলোর রহস্যময়ী সহোদরার মতো এই অন্ধকার।
যে আমাকে চিরদিন ভালোবেসেছে
অথচ যার মুখ আমি কোনদিন দেখিনি,
সেই নারীর মতো
ফাল্গুন আকাশে অন্ধকার নিবিড় হয়েছে উঠছে।
জীবনানন্দ দাশ
কাল রাতে – ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ ।
জীবনানন্দ দাশ
যে জীবন ফড়িংয়ের দোয়েলের – মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
জীবনানন্দ দাশ
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে
বলিলাম: একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি, আসিবার ইচ্ছা যদি হয়!–
পঁচিশ বছর পরে!
জীবনানন্দ দাশ
তবু তোমাকে ভালোবেসে
মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে
বুঝেছি অকূলে জেগে রয়
ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে যেখানেই রাখি এ হৃদয় ।
জীবনানন্দ দাশ
তোমার হৃদয় আজ ঘাস :
বাতাসের ওপারে বাতাস –
আকাশের ওপারে আকাশ।
জীবনানন্দ দাশ
এই সব শীতের রাতে আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে;
জীবনানন্দ দাশ
তবু তুমি শীত- রাতে আড়ষ্ট সাপের মতো শুয়ে
হৃদয়ের অন্ধকারে প’ড়ে থাকো,- কুণ্ডলী পাকায়ে!
জীবনানন্দ দাশ
এই পৃথিবীর ভালো পরিচিত রোদের মতন
তোমার শরীর; তুমি দান করোনি তো;
সময় তোমাকে সব দান করে মৃতদার বলে
সুদর্শনা, তুমি আজ মৃত।
জীবনানন্দ দাশ
ফ্যাকাশে মেঘের মতো চাঁদের আকাশ পিছে রেখে
চ’লে যাই;- কোন এক রুগ্ন হাত আমাদের টানে?
পাখির মায়ের মতো আমাদের নিতেছে সে ডেকে
আরো আকাশের দিকে,- অন্ধকারে,- অন্য কারো আকাশের থেকে!
জীবনানন্দ দাশ
শোনা যায় –মানুষের হৃদয়ের পুরোনো নীরব বেদনার গন্ধ ভাসে
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশের বাণী
আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের বাণী তুলে ধরব। আপনারা যারা কবি জীবনানন্দ দাশের বাণী সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন । কারন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের সুন্দর সুন্দর বাণী গুলো তুলে ধরেছি । যেন আপনারা আমাদের বাণীগুলো পড়ে উপকৃত হতে পারেন । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কবি জীবনানন্দ দাশের মুখের কিছু বাণী সম্পর্কে । যা আপনাকে অনেক কিছু শিক্ষা অর্জন করতে সাহায্য করবে । কবি জীবনানন্দ দাশের বাণী গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ।
পৃথিবীতে ঢের দিন বেঁচে থেকে আমাদের আয়ু
এখন মৃত্যুর শব্দ শোনে দিনমান।
জীবনানন্দ দাশ
যাহারা কিছুই সৃষ্টি করে নাই তাহাদের অবিকার মন
শৃঙ্খলায় জেগে উঠে কাজ করে– রাত্রে ঘুমায়
পরিচিত স্মৃতির মতন।
জীবনানন্দ দাশ
আমাদের অবসর বেশি নয়, – ভালোবাসা আহ্লাদের অলস সময়
আমাদের সকলের আগে শেষ হয়
দূরের নদীর মতো সুর তুলে অন্য এক ঘ্রাণ – অবসাদ-
আমাদের ডেকে লয়,- তুলে লয় আমাদের ক্লান্ত মাথা – অবসন্ন হাত।
জীবনানন্দ দাশ
মেঘের ফোঁটার মতো স্বচ্ছ, গড়ানে;
সুবাতাস কেটে তা’রা পালকের পাখি তবু
ওরা এলে সহসা রোদের পথে অনন্ত পারুলে
ইস্পাতের সূচীমুখ ফুটে ওঠে ওদের কাঁধের ’পরে,
নীলিমার তলে;
জীবনানন্দ দাশ
সন্ধ্যার নদীর জলে এক ভিড় হাঁস ওই— একা
এখানে পেল না কিছু; করুণ পাখায়
তাই তা’রা চলে যায় শাদা, নিঃসহায়।
জীবনানন্দ দাশ
গভীর নিসর্গ সাড়া দিয়ে শ্রুতি বিস্মৃতির নিস্তব্ধতা ভেঙে দিতো তবু
একটি মানুষ কাছে পেলে;
জীবনানন্দ দাশ
এই বর্তমান, তার দু’পায়ের দাগে
মুছে যায় পৃথিবীর’পর
একদিন হয়েছে যা – তার রেখা, ধূলার অক্ষর!
জীবনানন্দ দাশ
সে-আগুন জ্ব’লে যায়
সে-আগুন জ্বলে’ যায়
সে-আগুন জ্ব’লে যায় দহেনাকো কিছু।
নিমীল আগুনে ওই আমার হৃদয়
মৃত এক সারসের মতো।
জীবনানন্দ দাশ
কী এক ইশারা যেন মনে রেখে একা একা শহরের পথ থেকে পথে
অনেক হেঁটেছি আমি; অনেক দেখেছি আমি ট্রাম-বাস সব ঠিক চলে;
তারপর পথ ছেড়ে শান্ত হয়ে চলে যায় তাহাদের ঘুমের জগতে:
জীবনানন্দ দাশ
কোনো জল কী ক’রে অপর জল চিনে নেবে অন্য নির্ঝরের?
তবুও জীবন ছুঁ’য়ে গেলে তুমি;-
আমার চোখের থেকে নিমেষ নিহত
সূর্যকে সরায়ে দিয়ে।
জীবনানন্দ দাশ
সূর্যের আলোর পরে নক্ষত্রের মতো আলো জ্বেলে
সন্ধ্যার আঁধার দিয়ে দিন তারে ফেলেছে সে মুছে অবহেলা!
জীবনানন্দ দাশ
তুমি সেই নিস্তব্ধতা চেনো নাকো; অথবা রক্তের পথে
পৃথিবীর ধূলির ভিতরে
জানো নাকো আজও কাঞ্চী বিদিশার মুখশ্রী মাছির মতো ঝরে;
সৌন্দর্য রাখিছে হাত অন্ধকার ক্ষুধার বিবরে;
জীবনানন্দ দাশ
আমার এমন কাছে– আশ্বিনের এত বড় অকূল আকাশে
আর কাকে পাব এই সহজ গভীর অনায়াসে –’
বলতেই নিখিলের অন্ধকার দরকারে পাখি গেল উড়ে
প্রকৃতিস্থ প্রকৃতির মতো শব্দে — প্রেম অপ্রেম থেকে দূরে।
জীবনানন্দ দাশ
আমরা যাইনি ম’রে আজো–তবু কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়:
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে,
জীবনানন্দ দাশ
মাঝে মাঝে অনেক দূর থেকে শ্মশানের চন্দনকাঠের চিতার গন্ধ,
আগুনের –ঘিয়ের ঘ্রাণ;
বিকেলে
অসম্ভব বিষন্নতা।
জীবনানন্দ দাশ
তোমার মাথার চুলে কেবলি রাত্রির মতো চুল
তারকার অনটনে ব্যাপক বিপুল
রাতের মতন তার একটি নির্জন নক্ষত্রকে
ধ’রে আছে।
জীবনানন্দ দাশ
যেইখানে বন
আদিম রাত্রির ঘ্রান
বুকে লয়ে অন্ধকারে গাহিতেছে গান!
তুমি সেইখানে
জীবনানন্দ দাশ
তাদের মাটির গল্প–তাদের মাঠের গল্প সব শেষ হ’লে
অনেক তবুও থাকে বাকি–
তুমি জানো–এ-পৃথিবী আজ জানে তা কি!
জীবনানন্দ দাশ
মিলন ও বিদায়ের প্রয়োজনে আমি যদি মিলিত হতাম
তোমার উৎসের সাথে, তবে আমি অন্য সব প্রেমিকের মতো
বিরাট পৃথিবী আর সুবিশাল সময়কে সেবা ক’রে আত্মস্থ হতাম।
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত উক্তি
কবি সাহিত্যিকদের মুখের কথা আমাদের জন্য শিক্ষা । কারন তারা ভেবেচিন্তে প্রত্যেকটি কথা বলে । তাদের কথায় রয়েছে মানুষের জন্য কল্যাণ । কারণ তারা মানুষকে নিয়ে ভাবে কখনো মানুষের খারাপ চায়না । তারা চায় জগত সংসারী সকলেই উন্নতি করুক তারা হিংসা থেকে নিজেকে বিরত রাখে । তাই তাদের প্রত্যেকটি কথা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব । তাই আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের কিছু কথা তুলে ধরব। আশা করছি আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন ।
মরণের হাত ধরে স্বপ্ন ছাড়া কে বাঁচিতে পারে?
জীবনানন্দ দাশ
আশার ঠোঁটের মতো নিরাশার ভিজে চোখ চুমি
আমার বুকের পরে মুখ রেখে ঘুমায়েছ তুমি!
জীবনানন্দ দাশ
যতই শান্তিতে স্থির হ’য়ে যেতে চাই;
কোথাও আঘাত ছাড়া– তবুও আঘাত ছাড়া অগ্রসর সূর্যালোক নেই।
জীবনানন্দ দাশ
তবুও সবই ঠিক হয়েছে; কবের আদি পৃথিবী থেকে তুমি
কত গ্লানি রক্ত আঁধার বিহ্বলতার থেকে
চলেছ আজও তিলধারণের মতন পটভূমি
দান না ক’রে–নিজেরই গালে সে তিলবিন্দু রেখে।
জীবনানন্দ দাশ
রাত যেন লেবুর ফুলের মতো নক্ষত্রের গন্ধ দিয়ে ঘেরা
শান্ত সব প্রতিবিম্ব –কবেকার জীবনের এই সব বেদনার স্তর।
জীবনানন্দ দাশ
জানি নদী নীল সাগরও দু-দণ্ডে শুকায়
চিতায় শরীর ফেলে রেখে মনও কোথায় যায়,
তোমার আমার ফুরিয়ে যাবার সময় তবু নেই
জন্মে জন্মে–তবুও জন্মে জন্মে ভালোবেসে।
জীবনানন্দ দাশ
রাত্রি আসে–রাত্রি শেষ হয়ে গেলে আলো;
আলো আরো মৃদু হলে তার তার চেয়ে বেশি
স্নিগ্ধ অন্ধকার সব–আকাঙ্ক্ষিত মেয়েটির হাতের মতন
কাছে এসে সংবরণ ক’রে তবু, যেন নেপথ্যের
ওপারের থেকে তার কথা বলে।
জীবনানন্দ দাশ
চিলের ডানার থেকে ঠিকরিয়ে রোদ
চুমোর মতন চুপে মানুষের চোখে এসে পড়ে;
শত টুকরোর মতো ভেঙে সূর্য ক্রমে আরও স্থির-
স্থিরতর হতে চায় নদীর ভিতরে।
জীবনানন্দ দাশ
কে আমারে ব্যথা দেছে– কে বা ভালোবাসে,
সব ভুলে, শুধু মোর দেহের তালাশে
শুধু মোর স্নায়ু শিরা রক্তের তরে
এ মাটির’পরে
আসিব কি নেমে!
পথে পথে,- থেমে- থেমে- থেমে
খুঁজিব কি তারে,-
এখানের আলোয় -আঁধারে
যেইজন বেঁধেছিল বাসা!
জীবনানন্দ দাশ
এসো রাত্রি, অজানার সহোদরা তুমি,
মুমূর্ষু আলোর ভীষণতাকে তোমার শান্তি-নিঃশব্দতার ভিতর
গ্রহণ করবার জন্য
শোনো পৃথিবী, এই রাত্রির শীত, সফল বিসরণ;
এসো মৃত্যু, রাত্রির সহোদরা তুমি,
সময়ের এই অসৎ স্বাক্ষরিত অস্পষ্টতাকে নিঃশেষ করবার জন্যে।
জীবনানন্দ দাশ
ওইখানে একজন শুয়ে আছে — দিনরাত দেখা হত কত কত দিন
হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ;
শান্তি তবু: গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং
আজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার স্বাদ।
জীবনানন্দ দাশ
হৃদয় আছে ব’লেই মানুষ, দ্যাখো, কেমন বিচলিত হ’য়ে
বোনভায়েকে খুন ক’রে সেই রক্ত দেখে আঁশটে হৃদয়ে
জেগে উঠে ইতিহাসের অধম স্থূলতাকে
ঘুচিয়ে দিতে জ্ঞানপ্রতিভা আকাশ প্রেম নক্ষত্রকে ডাকে।
জীবনানন্দ দাশ
প্রেম ধীরে মুছে যায়,
নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়,
হয় নাকি?
জীবনানন্দ দাশ
তোমার মুখের রূপ কত শত শতাব্দী আমি দেখি না
খুঁজি না।
জীবনানন্দ দাশ
শরীর রয়েছে, তবু মরে গেছে আমাদের মন!
হেমন্ত আসেনি মাঠে , হলুদ পাতায় ভরে হৃদয়ের বন!
জীবনানন্দ দাশ
চোখে তার
যেন শত শতাব্দীর নীল অন্ধকার!
জীবনানন্দ দাশ
পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।
জীবনানন্দ দাশ
আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি
জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে
কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।
জীবনানন্দ দাশ
আজকে রাতে তোমায় আমার কাছে পেলে কথা
বলা যেত; চারিদিকে হিজল শিরীষ নক্ষত্র ঘাস হাওয়ার প্রান্তর।
জীবনানন্দ দাশ
শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে
বলিলাম–একদিন এমন সময়
আবার আসিয়ো তুমি- আসিবার ইচ্ছা যদি হয়
পঁচিশ বছর পরে।
জীবনানন্দ দাশ
থমথমে রাত,- আমার পাশে বসল অতিথি,
বললে,- আমি অতীত ক্ষুধা,তোমার অতীত স্মৃতি!
জীবনানন্দ দাশ
সর্বশেষ কথা,
আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কবি জীবনানন্দ দাশের উক্তি বাণী ও কিছু কথা তুলে ধরেছি । আপনারা যারা কবি জীবনানন্দ দাসের এ ধরনের তথ্য পেতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন । আশা করছি তাহলেই আপনারা আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে এ ধরনের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন । এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাথেই থাকুন । আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ।