যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না

হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ হয় না এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য তুলে ধরব। রোজা হচ্ছে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। প্রতিবছর রমাদান মাসে আমরা সকলেই রোজা রাখি। রমজান মাস টিতে মহান আল্লাহতালা বিশেষ রহমত দিয়েছেন। এই মাসে যত বেশি ইবাদত করবেন তার থেকে অনেক গুণ বেশি সওয়াব পাবেন। তাই এই মাসটি আসলে প্রত্যেক মুসলমানই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে রোজা বা সিয়াম পালন করার চেষ্টা করে।

মহান আল্লাহতালা সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। কিন্তু অনেকেই জানেন না কোন কোন কারণে রোজা ভঙ্গ হয় আবার কোন কোন কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। আর আজকে আমি তুলে ধরব যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না সে কাজগুলো সম্পর্কে। আপনারা যারা রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। আশা করছি তাহলেই আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

রোজা ভঙ্গ হয় না এমন কয়েকটি কাজ

আপনি কি রোজা ভঙ্গ হয় না এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন। তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। কারণ আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ হয় না এমন কয়েকটি কাজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আশা করছি আপনারা খুব সহজেই আমাদের পোস্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ হয় না এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক রোজা ভঙ্গ হয় না এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হলে রোজা ভঙ্গ হয় না। আবার অনেক সময় বমি মুখের ভিতরে বাহির হয়ে অটোমেটিক ভিতরে ঢুকে যায় এ কারণেও রোজা ভঙ্গ হয় না।

পোকামাকড় অনিচ্ছাকৃতভাবে পেটের ভিতর ঢুকে গেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

অনিচ্ছাকৃতভাবে ধোয়া পেটের ভিতর ঢুকে গেলেও রোজা ভঙ্গ হয় না

রোজার কথা ভুলে গেলে যদি আপনি পানাহার করেন তাহলে রোজা ভঙ্গ হয় না তবে আপনার স্মরণ হওয়া মাত্রই পানহার করা বন্ধ করে দিতে হবে।

চোখে ওষুধ দিলে রোজা ভঙ্গ হয় না বা আতর সুরমা ব্যবহার করলেও রোজা ভঙ্গ হয় না।

ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

সুস্থ অবস্থায় রোজার নিয়ত করার পর আপনি যদি অজ্ঞান হয়ে যান তাহলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে জ্ঞান ফেরার পর কিছু খাওয়া যাবে না।

রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে রোজা ভঙ্গ হয় না বা ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

রাত্রে স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সেহরির সময় আপনি যদি গোসল না করেন তাহলে রোজা ভঙ্গ হয় না। তবে ফরজ গোসল দ্রুত করে নেওয়াই ভালো।

শুধু যৌন চিন্তার কারণে যদি আপনার বীর্যপাত হয় তাহলে রোজা ভাঙবে না। তবে এই ধরনের কুচিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন।

স্ত্রীকে রমজান মাসে চুম্বন করতে পারবেন এতে রোজা ভঙ্গ হবেনা। তবে কামনার দৃষ্টিতে না করাই ভালো। কারণ তরুণরা সে সময় নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারে না।

সর্বশেষ কথা

আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কিছু কারণ তুলে ধরেছি। আপনারা যারা রোজা ভঙ্গ না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে চান আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।