হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর মহামূল্যবান বাণী
হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহামূল্যবান বাণী তুলে ধরব। হযরত মোহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন আল্লাহর প্রেরিত একজন নবী এবং রাসূল। তিনি হচ্ছেন সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তার দেখানো পথে চললেই পরকালে আমরা পাব জান্নাত। কারণ তিনি কুরআন এবং তাঁর হাদিস মোতাবেক আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন। আমরা যদি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেখানো পথে চলি তাহলে একদিন না একদিন আমরা জান্নাত পাবো না। হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে বেধর্মীরা ও আলামিন নামে ডাকত। আলামিন শব্দের অর্থ হচ্ছে বিশ্বাস।
তিনি জীবনে কোনদিন মিথ্যা কথা বলেননি। তাইতো তাকে সবাই অনেক ভালোবাসতো। তাই আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু মহা মূল্যবান বাণী তুলে ধরব। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখের কথাগুলোই হচ্ছে হাদিস বা বাণী। যা আমাদের জন্য মহা মূল্যবান। কারণ তিনি আমাদের সবচেয়ে পথ দেখিয়ে গেছেন। সেই পথেই আমাদের চলতে হবে। আশা করছি আপনারা যারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহামূল্যবান বাণী গুলো সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী তারা আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে তা পেয়ে যাবেন।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর হাদিস
আপনি কি হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর হাদিস সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন। তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটা আপনাকে স্বাগতম। কারণ আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর হাদিস গুলো তুলে ধরব। আপনারা যারা তার দেখানো পথ গুলো অনুসরণ করবেন আখিরাতে তারাই জান্নাত লাভ করতে পারবেন। তাইতো অনেকেই আল্লাহর প্রিয় বান্দারা হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর হাদিস গুলো সম্পর্কে সম্পর্কে জানার জন্য গুগল এ সার্চ করে থাকেন। দেখা করছে আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসগুলো পেয়ে যাবেন।
আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা ।
সহীহ বুখারী
আমার সাহাবীদের সম্মান দান করো , কারণ তারা তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম।
মিশকাত
আমার সাহাবীদের গালি দিওনা।
সহীহ বুখারী
বান্দাহ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে , তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন।
সহীহ বুখারী
সব আদম সন্তানই ভুল করে । তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে।
তিরমিযী
দুনিয়া মুমিনের জন্যে কারাগার আর কাফিরের বেহেশত।
সহীহ মুসলিম
দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেনো তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক।
সহীহ বুখারী
অনাড়ম্বর জীবন যাপন ঈমানের অংশ ।
আবু দাউদ ]
হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে , মনোকষ্ট থেকে , বার্ধক্য থেকে , আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে ।
সহীহ বুখারী
হে আল্লাহ ! আমার অন্তরে আল্লাহভীতি দাও এবং তাকে পরিশুদ্ধ করো। তুমিই তো তার উত্তম পরিশুদ্ধকারী ।
সহীহ মুসলিম
ওগো আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে এমন জ্ঞান থেকে পানাহ চাই যাতে কোনো কল্যাণ নেই । আর এমন হৃদয় থেকেও আশ্রয় চাই যাতে তোমার ভয় নেই।
আহমদ
আয় আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই সংশয় থেকে , কপটতা থেকে আর অসৎ চরিত্র থেকে।
নাসায়ী
হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চাই হিদায়াত , আল্লাহভীতি , পবিত্র জীবন এবং প্রাচুর্য ।
সহীহ মুসলিম
ওগো আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করে দাও , আমার প্রতি দয়া করো , আমাকে সঠিক পথ দেখাও , আমাকে স্বস্তি দান করো এবং আমাকে জীবিকা দাও।
সহীহ মুসলিম
আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম , তবে অবশ্যি আবু বকরকে বন্ধু বানাতাম ।
সহীহ বুখারী
হে আবু বকর! (পর্বত) গুহায় তুমি আমার সাথী ছিলে , হাউজে কাউসারেও তুমি আমার সাথী থাকবে।
তিরমিযী
নিজের সাথীত্ব ও অর্থ দিয়ে আমাকে সকলের চেয়ে অধিক সহযোগিতা করেছে আবু বকর।
সহীহ বুখারী
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হচ্ছেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ রাসূল। তিনি ছিলেন সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ। তার চরিত্রে কখনো কোনদিন কোন দাগ লাগেনি। তিনি মুসলিম জাতিকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। তার দেখানো পথে যদি আমরা চলতে পারি তাহলে পরকালে আমরা পাবো জান্নাত। তা না হলে কখনোই আমরা জান্নাত পাব না। আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কিছু বাণী তুলে ধরবো।
আপনারা যারা হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর দেখানো পথে চলতে চান বা তার বাণীগুলো সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সেই বাণী গুলো পেয়ে যাবেন। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী গুলো সম্পর্কে।
হে আবু বকর ! আমার উম্মতের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আবু দাউদ
আল্লাহ উমরের যবান ও অন্তরে সত্য সন্নিবেশ করে দিয়েছেন ।
তিরমিযী
আমার পরে যদি কেউ নবী হতো , তবে অবশ্যি উপর বিন খাত্তাব হতো।
তিরমিযী
আমি রসূলুল্লাহ (সা) চাইতে অধিক সুন্দর কোনো কিছু দেখিনি।
আবু হুরাইরা রা. তিরমিযী
আমি কাউকেও রসূলুল্লাহর (সা) চাইতে দ্রুত চলতে দেখিনি।
আবু হুরাইরা রাঃ তিরমিযী
রসূলুল্লাহ (সাঃ) কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘ না’ বলেছেন , এমন কখনো হয়নি।
জাবির : সহীহ বুখারী
রসূলুল্লাহ (সাঃ) রোগীর সেবা করতেন এবং কফিনের সাথে যেতেন।
আনাস রাঃ ইবনে মাজাহ
রসূলুল্লাহ (সা) দীর্ঘ সময় চুপ থাকতেন ।
জাবির বিন সামু রাঃ শরহে সুন্নাহ
রসূলুল্লাহ (সা) যখন কথা বলতেন , তখন কেউ ইচ্ছে করলে তাঁর বক্তব্যের শব্দ সংখ্যা গুণে নিতে পারতো ।
আয়েশা রাঃ সহীহ বুখারী
রসূলুল্লাহ (সা) কথা বলতেন থেমে থেমে স্পষ্ট করে ।
জাবির রাঃ আবু দাউদ
রসূলুল্লাহ (সা) সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে বিনিময়ে তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন না , বরং ক্ষমা করে দিতেন এবং উপেক্ষা করতেন।
আয়েশা রাঃ তিরমিযী
আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে।
সহীহ মুসলিম
সুখবর তার জন্যে , যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যে আমাকে দেখেনি , অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে।
আহমদ
আমার আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে কল্যাণময় জ্ঞান , গ্রহণযোগ্য আমল আর পবিত্র জীবিকা ।
আহমদ
ওগো আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি সুস্থতা , স্বস্তি , বিশ্বস্ততা , উত্তম চরিত্র আর তাকদীরের প্রতি সন্তুষ্টি।
বায়হাকী
আমার আল্লাহ ! আমি তোমার ভালোবাসা চাই , আর যে তোমাকে ভালোবাসে তার ভালোবাসা চাই।
তিরমিযী
যখন কিছু প্রার্থনা করবে , আল্লাহর কাছে করবে ।
মিশকাত
মহত চরিত্রের পূর্ণতা দানের জন্যে আমার আগমন। [মুআত্তায়ে মালিক ] শব্দার্থ :‘আখলাকুন’ও‘খুলুকুন’ মানে -নৈতিক চরিত্র,ব্যবহার,আচার আচরণ।
উত্তম চরিত্রের চাইতে বড় মর্যাদা আর নেই।
ইবনে হিব্বান
ঈমানের পূর্ণতা লাভকারী মুমিন তারা,যাদের নৈতিক চরিত্র সর্বোত্তম।
মিশকাত
তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা,যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।
সহীহ বুখারী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহামূল্যবান বাণী
আল্লাহর নবীর চরিত্র ছিলো ঠিক কুরআনের মতো।
আয়েশা রাঃ সহীহ মুসলিম
দু’আ ইবাদতের মস্তিস্ক।
তিরমিযী
আল্লাহর কাছে তাঁর অনগ্রহ চাও। তাঁর কাছে প্রার্থনা করাকে আল্লাহ খুবই পছন্দ করেন।
তিরমিযী
সর্বোত্তম জীবন পদ্ধতি হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ প্রদর্শিত পদ্ধতি।
সহীহ মুসলিম
যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো।
সহীহ বুখারী
যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো ।
সহীহ বুখারী
যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো ।
সহীহ মুসলিম
যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো , সে আমার লোক নয়।
সহীহ মুসলিম
আমি আল্লাহর কাছে শেষ নবী হিসেবে লিখিত আছি।
শরহে সুন্নাহ
যে আল্লাহর কাছে চায়না , আল্লাহ তার উপর রাগান্বিত হন।
তিরমিযী
আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি।
সহীহ মুসলিম
সাওম একটি ঢাল।
মিশকাত ] শব্দার্থ : সাওম – রোজা।
সাওম এবং কুরআন বান্দার জন্যে সুপারিশ করবে ।
বায়হাকী
যখন রমযান শুরু হয় , তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়
সহীহ বুখারী
তোমাদের মাঝে বরকতময় রমযান মাস এসেছে। আল্লাহ তোমাদের উপর এ মাসের সিয়াম সাধনা ফরয করে দিয়েছেন।
নাসায়ী
সর্বশেষ কথা
আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীগুলো তুলে ধরেছি। আপনারা যারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী এবং জানতে চান আশা করছি তারা আমাদের আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন । এ ধরনের মহামূল্যবান পোস্টগুলো পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।