যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় | যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গের এবং রোজা মাকরুহ হওয়ার কিছু কারণ তুলে ধরব। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি। সিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ। তাই আমরা সিয়াম পালন করব। সিয়াম শব্দের অর্থ হচ্ছে সংযত থাকা বা বিরত থাকা। প্রত্যেক মুসলমান সিয়াম পালন করে থাকেন মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার পাশাপাশি সিয়াম পালনের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন আমাদের জন্য ফরজ তেমনি সিয়াম পালন আমাদের জন্য ফরজ। প্রত্যেক বছর রমাদান মাসে আমরা সিয়াম পালন করে থাকি।

আমরা কখনো কোন রোজা কাজা করব না কারণ রোজা পরের বছর আমাদের জীবনে আসবে কিনা তা আমরা কেউ জানিনা। যদি আপনি মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান তাহলে সিয়াম পালন করুন। কারণ অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে অনেক গুণ বেশি সাওয়াব পাওয়া যায়। তাইতো মুসলিম মানুষেরা রমজান মাস আসলেই রোজা রাখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে অতীতে যা ভুল ভ্রান্তি করেছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। মহান রাব্বুল আলামিন হচ্ছেন দয়ালু আমরা জীবনে যতই ভুল করি না কেন তার কাছে যদি আমরা মাফ চাই তিনি আমাদের মাফ করে দিবেন।

অনেকেই আছেন যারা রোজা রাখেন কিন্তু রোজা ভঙ্গের নিয়ম সম্পর্কে জানেন না বা কোন কোন কারনে রোজা মাকরু হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কেও জানেন না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় বা যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয় সে কারণগুলো তুলে ধরব। আশা করছি আপনারা যারা রমজান মাস আসলে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন গুগলে সার্চ করে তারা খুব সহজেই আমাদের পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়

একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জানা দরকার যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় সে কারণগুলো সম্পর্কে। কারন আমরা ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত অনেক কাজ করে থাকি যে কাজগুলোর কারণে রোজা ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা অনেক সময় ভঙ্গ হয় না কিন্তু আমরা রোজা ভঙ্গ হয় মনে করে রোজাটি নষ্ট করে থাকি। তাই যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় আমরা রমজান মাসে সে কাজগুলো থেকে বিরত থাকব। তাই আপনারা যারা জানেন না যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন রোজা ভঙ্গের কারণগুলো সম্পর্কে।

অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি গলায় আসার পর ভিতরে ঢুকে যায় তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

যৌন উত্তেজনার সাথে স্ত্রীকে চুম্বন কিংবা স্পর্শের কারণে যদি বীর্যপাত ঘটে তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে।

মহিলাদের ঋতুস্রাব বা সন্তান প্রসব করলে রোজা ভঙ্গ হবে।

হঠাৎ এই দাঁত থেকে রক্ত বের হয় এই রক্ত যদি আপনারা গিলে ফেলেন এবং রক্তের স্বাদ নেন তাহলে আপনার রোজা ভঙ্গ হবে।

ভুলবশত আহার করার পর যদি মনে করেন আপনার রোজা ভঙ্গ হয়েছে তারপর আবার আহার গ্রহণ করেন তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে।

রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করলে রোজা ভঙ্গ হবে এবং কাফফারা ওয়াজিব হবে।

কুলি করার সময় পেটের ভেতর পানি প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হবে।

নাকে অথবা কানে কোন তরল পদার্থ কিংবা ওষুধ প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হবে।

বিরি সিগারেট বাজে কোন ধূমপান জাতীয় জিনিস খেলে রোজা ভঙ্গ হবে।

সেলাইন দিলে রোজা ভঙ্গ হবে।

প্রসাব বা পায়ু পথ দিয়ে ওষুধ ওষুধ দিলে রোজা ভঙ্গ হবে।

রোজাদারকে জোর করে খাওয়ালে রোজা ভঙ্গ হবে।

সুবহে সাদিক হয়ে যাওয়ার পর সময় বাকি আছে ভেবে সেহেরী করলে রোজা ভঙ্গ হবে।

অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি আসলে অথবা তা পুনরায় গিলে ফেললে রোজা ভঙ্গ হবে।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

আমরা উপরে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গের কারণগুলো তুলে ধরেছি। এখন আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয় সে কারণগুলো তুলে ধরবো। অনেকের কাছে অজানা কোন কোন কারণে রোজা মাকরূহ হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। আশা করছি তারা খুব সহজে আমাদের পোস্টের মাধ্যমে রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে।

থুতু মুখে জমিয়ে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হয়।

রোজা অবস্থায় সারাদিন শরীর নাপাক থাকলেও রোজা মাকরুফ হয়।

অকারণে মুখে কিছু নিয়ে চিবুতে থাকলে রোজা মাকরুহ হয়।

নাচ গান সিনেমা দেখলে রোজা মাকরুহ হয়।

অপ্রয়োজনে কোন বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করলে রোজা মাকরূহ হয়।

গীবত পরনিন্দা গালিগালাজ খারাপ কথাবার্তার মাধ্যমে রোজা মাকরূহ হয়।

রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দেওয়া জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শ করলে রোজা মাকরুহ হয়।

সর্বশেষ কথা

আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে যেসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় এবং যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয় সেই কারণগুলো তুলে ধরেছি। আপনারা যারা রোজা ভঙ্গের কারণগুলো সম্পর্কে জানেন না বা রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানেন না তারা আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব সহজেই জানতে পারবেন। আশা করছি এ বিষয়গুলো থেকে আপনারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে করে আপনারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটি পরিপূর্ণ রোজা রাখতে পারেন কোনোরকম ব্যাঘাত না ঘটে। এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।