নামাজ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও বাণী

হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও বাণী তুলে ধরব। নামাজ বেহেস্তের চাবি। প্রত্যেকটি মানুষের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক। মৃত্যুর পরের জীবন অর্থাৎ আখিরাতে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব দিতে হবে। মহান রাব্বুল আলামিন প্রত্যেক মানুষের জন্য নামাজকে ফরজ করেছেন। নামাজ ব্যতীত কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। তাই আমাদেরকে নামাজ পড়তেই হবে। নামাজ পড়লে সকল খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা যায়। নামাজ মানুষকে যেকোনো পাপাচার থেকে দূরে রাখে যে কোন অশ্লীল কাজ থেকে মানুষকে দূরে রাখে। তাই আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করব।

ইসলাম ধর্ম অর্থ হচ্ছে শান্তি। তবে ইসলাম ধর্মে সব মানুষ ভালো হবে তা না কিছু মানুষ আছে নামমাত্র মুসলিম হবে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করবে না। মানুষের হক আদায় করবে না মানুষকে ঠকাবে। কিন্তু আপনারা যদি নিয়মিত নামাজ পড়েন তাহলে এই কাজগুলো থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আপনারা যারা নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস বাণী সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও বাণী সম্পর্কে।

নামাজ নিয়ে উক্তি

নামাজ নিয়ে অনেক হাদিস রয়েছে। আবার নামাজ নিয়ে অনেকেই উক্তি করে গেছেন। অনেকে আছেন যারা নামাজ পড়েন না বা নামাজ পড়েন এ ধরনের ব্যক্তিরা ফেসবুক অথবা টুইটারে বা যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরতে চায়। তাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরব। আশা করছি আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মিজানুর রহমান আল আজহারী বলেন জীবনে সব মিস দেওয়া যাবে কিন্তু নামাজ মিস দেওয়া যাবে না।
সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ হে বিশ্বাসী বান্দারা তোমদের পাপ হতে পারে ভুল হতে পারে অন্যায় হতে পারে। তোমরা ওই অন্যয়ের উপর অটল থেকোনা তোমরা ফিরে আসো তওবা করো ক্ষমা চাও ও সালাত আদায় করো। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষামাশীল পরম দয়ালু।
সংগৃহীত

হযরত আলী ( রাঃ) বলেন আমি জান্নাতের চেয়ে নামাজকে বেশি ভালোবাসি । কারণ জান্নাতের সুখ আমার নিজের জন্য আর নামাজ হলো আমার মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য।
সংগৃহীত

নামাজ হলো হৃদয়ের আলো। যে চায় সে তার হৃদয়কে আরোকিত করতে পারে।
সংগৃহীত

মহানবী (সঃ) বলেন তোমাদের সন্তানদেরকে ৭ বছর বয়স থেকে সালাত আদায়ের জন্য তাগাদা দাও এবং ১০ বছর বয়স থেকে সলাত আদায়কারী হিসেবে গডে তুলো।
সংগৃহীত

তোমরা নামাজের প্রতি মনোযোগী ও যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও এবং সালাত আদায় করো।
সংগৃহীত

আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য সব থেকে উত্তম মাধ্যম হলো নামাজ।
সংগৃহীত

পরম করুণাময় আল্লাহ বলেন সেই ও বান্দা জাহান্নামে যাবে না, যে আমাকে (আল্লাহকে) একবার হলেও সেজদাহ করেছে।
সংগৃহীত

মহানবী (সঃ) বলেন কোনো ব্যক্তি সালাত আদায়ের জন্য আগে থেকে অপেক্ষা করলে অপেক্ষমান সময়ের জন্য তার আমলনামায় সলাত আদায়ের সমপরিমান সওয়াব লেখা হবে।

মহনবী (সঃ) একটা হাদীসে বলেন নামাজ হচ্ছে মুমিন ও কাফেরের মধ্যকার পাথ্যর্ককারী।
সংগৃহীত

যখন কেউ নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করে তখন শয়তান তার কাছ থেকে পালিয়ে যায়।
সংগৃহীত

সুরা আল বাকারাতে ১৫৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ হে মুমিনগণ, ধৈর্য ধরো এবং নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
সংগৃহীত

মহনবী (সঃ) বলেন নামায জান্নাতের চাবিকাঠি, তাই জান্নাতের দরজা খুলতে চাইলে নামায আদায় করো।
সংগৃহীত

মহানবী (সঃ) নামাজ নিয়ে উক্তি বলতে বলতে হঠাৎ বললেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের প্রতি উদাসীন সে মুনাফিকদের অন্তরভূক্ত আর অল্লাহ তায়লা বলেন নিশ্চয় মুনাফিকরা হবে জাহান্নামী।
সংগৃহীত

নামাজ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

আপনি কি নামাজ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানার জন্য এসেছেন। তাহলে আমাদের আজকের পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরবো। আপনারা যারা নামাজ নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস গুলো ফেসবুকে শেয়ার করতে চান আশা করছি তারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সকল স্ট্যাটাস পেয়ে যাবেন। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।

নামাজ আমাদেরকে সকল খাপার ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং আমাদের মনকে পরিশুদ্ধ করে।
সংগৃহীত

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন। আল হাদিস

তোমরা নামাজকে আকড়ে ধরো, তাহলে তোমরা বিপদগামী হবে না।
সংগৃহীত

একজন মুমিন বান্দার কাছে সবথেকে প্রিয় ইবাদত হচ্ছে নামাজ।
সংগৃহীত

আল্লহর কাছ থেকে কেনো কিছু চাওয়ার উত্তম উপায় হলো নামাজ।
সংগৃহীত

হে মুমিনগন তোমরা নামাজ কায়েম করো, সৎ কাজে আদেশ করো এবং অসৎকাজে নিষেধ করো।
সংগৃহীত

নামাজের মাঝে যে শান্তি পাওয়া যায়, সেই শান্তি আর কোথাও পাওয়া সম্ভব না।
সংগৃহীত

তোমরা যদি কেউ মানসিকভাবে কষ্টে থেকে থাকো তাহলে আল্লাহকে ডাকো এবং নামাজ আদায় করো তাহলে তোমার সকল কষ্ট দূর হয়ে যাবে।
সংগৃহীত

কেউ যখন নামাজের মধ্যে সেজদারত অবস্থায় থাকে তখন সে আল্লাহর সবথেকে কাছে অবস্থান করে।
সংগৃহীত

যে ব্যক্তি আজান শুনে নামাজ আদায় করলো না সে শুকরের চেয়েও নৃকৃষ্ট। —বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানি।
সংগৃহীত

নামাজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আল্লাহর কাছে আত্বসমর্পণ করা।
সংগৃহীত

যারা আল্লাহ্‌র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যায় করে নিশ্চয় তারা মুমিনদের অন্তরভুক্ত।
সংগৃহীত

মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও নামাজি ব্যক্তির মধ্যে কোন পর্দা থাকে না।
আল হাদিস

আল্লাহর যিকিরে, সলাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না।
সংগৃহীত

নামাজ নিয়ে বাণী

নামাজ নিয়ে কুরআন হাদিসে অনেক বাণী রয়েছে। অনেকেই এই বাণীগুলো জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাদের কথা চিন্তা করেই আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে এই বানীগুলো তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনারা খুব সহজেই আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়েই বাণীগুলো পেয়ে যাবেন। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজ নিয়ে বাণী সম্পর্কে।

নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬

কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহ তায়ালা তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহ তার দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেন।
আল হাদিস

নামাজি ব্যাক্তকে দেখলে শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
আল হাদিস

নামাজ হলো জান্নাতের চাবিকাঠি।
হযরত মুহম্মদ (সাঃ)

কোনো পাপ কাজের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা।
আল হাদিস

মানুষের ঈমান এবং শিরক ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য হলো সলাত পরিহার করা।
হযরত মুহম্মদ (সাঃ)

হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেন সলাতের জন্যে অপেক্ষমাণ ব্যাক্তি সলাতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ নিশ্চয় আমিই আল্লাহ্‌ আমি ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই । অতএব তোমরা আমার এবাদত করো এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর ।
সূরা ত্বোয়াহ, আয়াতঃ ১৪

সবাই আল্লাহর অভিমুখী হও এবং ভয় করো, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না ।
সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১

রসুল (সঃ) বলেনঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
আল হাদিস

কোনো পাপের কারণে কোন নামাজি ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা।
আল হাদিস

নামাজের উদ্দেশ্য তোমর বাড়ি থেকে মসজিদের দিকে রওনা দিলে প্রতি কদমে কদমে সওয়াব লেখা হয়।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)

সর্বশেষ কথা

আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি ক্যাপশনও বাণী তুলে ধরেছি। আপনারা যারা নামাজ নিয়ে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করতেছেন আশা করছি আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।