ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার গল্প
হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার একটি গল্প তুলে ধরবো। সবারই জীবনে একবার না একবার প্রেম আসবেই। তাইতো একটি গান রয়েছে প্রেম একবার এসেছিল জীবনে। আর ভালবাসার মানুষকে যদি কাছে পান তার অনুভূতি তো অতুলনীয়। ভালবাসতে কে না চায়। আর ভালোবেসে কাছে পেতে তো সকলেই যায়। তবে আপনার ভালোবাসা যদি সত্যিকার হয় তাহলে জীবনে যত বাধাই আসুক না কেন আপনার ভালবাসার মানুষকে আপনি কাছে পাবেন। কিন্তু এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য এবং সাহস রাখতে হবে।
ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেলে জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে যায় যেন জীবনের অপূর্ণতা পূর্ণতা পায়। জীবন থেকে সকল দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। তবে ভালোবাসার মানুষের সাথে বিয়ে হলে একটু খুনসুটি লেগেই থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তা কখনো মানুষকে বোঝাতে দেবেন না এতে করে তারা আপনাদেরকে হাস্যরসের পাত্র বানিয়ে রাখবেন। যে ভালোবেসে বিয়ে করেছে এখন আবার ঝগড়া করে। এই সুযোগটা যেন আপনার আশেপাশের মানুষ না পায়। তাহলে আপনার সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আপনাদের মাঝে ঝগড়া লাগিয়ে দিয়ে।
তাই জীবনে যতই বাধা আসুক না কেন ভালবাসার মানুষের হাতটি শক্ত করে ধরবেন যেন এ হাত কখনোই ছেরে না যায়। শুধু ভালোবেসে কাছে পেলেই হবে না সে ভালবাসার মর্যাদা দিতে হবে দুজনকে। আজকে আমি আমার বাস্তব জীবন থেকে একটি ভালোবাসার গল্প তুলে ধরবো। আশা করছি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং এই গল্পটি থেকে আপনি আরো বেশি আপনার ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন
ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার অনুভূতি
ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। কারণ যে ভালোবাসি নি সে কখনো এই অনুভূতি বুঝতে পারবে না। আর যে কষ্ট করে ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের জীবন সঙ্গিনী করে পেয়েছে সেই বুঝবে ভালোবাসার মর্ম। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেতে সবাই চায় কিন্তু যারা সত্যি কারের ভালোবাসে তারাই সে ভালোবাসায় সার্থক হয় কারণ তারা জীবনে যতই ঝড় আসুক না কেন তার ভালোবাসার মানুষটি হাত কখনোই ছেড়ে যাবে না। তাই আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার গল্প তুলে ধরবো। আপনারা যারা ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার গল্প জানতে চান আশা করছি তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন। তাহলেই ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার গল্পটি পেয়ে যাবেন।
ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার গল্প
আমার নাম রশিদ। আমি একটি মেয়েকে ভালবাসতাম তার নাম হচ্ছে ভাবনা। প্রথম তার সাথে আমার দেখা হয় একটি বিয়ে বাড়িতে। সেখান থেকেই আমাদের কথাবার্তা। পরে শুনলাম আমি যে স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেছি সে এখন সে স্কুলেই ক্লাস নাইনে পড়ে। কথাবার্তা বলতে বলতে তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার এলাকার পাশের এলাকায় সে থাকে। সে নাকি অনেক আগে থেকেই আমাকে ফলো করত। কিন্তু তা আমি জানতাম না। আর্থিক অবস্থার দিক থেকে তাদের অবস্থান আমাদের থেকে অনেক উপরে। তার বাবা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক এবং একজন ডাক্তার। কিন্তু ভালোবাসা তো আর গরিব ধনী মানে না। এরপর বিয়ে বাড়ি থেকে আমি চলে আসি। আমি প্রায় যে স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেছিলাম সে স্কুলে যাই। কয়েকদিন পর আমি স্কুলের পাশে বসে আছি দেখি ভাবনা সেই পাশের একটি দোকানে টিফিন কিনতে এসেছে। আমাকে দেখে থমকে গেছে। বলল ভাইয়া কেমন আছেন।
আমি বললাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো। সেখানেই তার সাথে আমার ফোন নাম্বার লেনদেন হয়। সে তার বোনের ফোন নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করতো। তাই তার ফোনের অপেক্ষায় আমাকে থাকতে হতো। ফোনে কথা বলতে বলতে এক সময় দুজনের মধ্যে গভীর প্রেম হয়। আমাদের পাশের এলাকায় তাদের বাড়ি হয় আমি রাতের বেলা করে চুপিচুপি তার সাথে দেখা করতে যাইতাম। সে একাই একটা রুমে থাকতো। তার বাবা-মা থাকতো নিচ তলায়। আর সে থাকতো দোতালায়। বেলকনিতে তখন তারা গ্রিল লাগায়নি। তাই আমি সহজেই বেলকুনি দিয়ে প্রায় রাতেই তার রুমে যেতাম। একদিন আমি কোট এপিক ওপিট এর কাগজ নিয়ে তার রুমে ঢুকি। এবং তার কাছে সই নেই এভাবেই আমরা কোর্টের কার্যক্রম সারি। তারপর দুজন মিলে চিন্তা করলাম আমরা পালিয়ে যাব।
তাই রাতে আমি তার বাড়ির পাশে আমার এই বড় ভাই বাড়িতে যাই। তাকে বলি আমি কাজের জন্য ঢাকা যাব বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে এসেছি। কারণ সত্যিটা বললে সে কখনোই আমাকে জায়গা দিত না। ভোর রাতেই আজান দেওয়ার সাথে সাথে তার বাড়ি থেকে আমি বেরিয়ে যাই তাকে না বলেই। ভাবনাকে নিয়ে আমি পালিয়ে যাই এক বন্ধুর বাসায়। সেখানেও বেশিক্ষণ টিকতে পারিনি। তার বাবা কোটিপতি হওয়ায় থানায় টাকা দিয়ে আমাদের পিছনে পুলিশ লেলিয়ে দেয়। তখন আমি ভাবনা কে নিয়ে সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াই। কিন্তু কোথাও ঠিক মতো জায়গা পাইনি।
যেখানেই থাকতে ধরি পুলিশ সে এলাকাই রেট দেয়। তারা আমার ফোন নাম্বার ট্রাক করে সেই এলাকায় পৌঁছে যায়। কিন্তু এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে আমি তখন আমার সিম কার্ড ফেলে দেই। তারপর অন্য এক এলাকায় অবস্থান নেই। কিন্তু এইদিকে তার বাবা টাকার জোর দেখিয়ে এবং চেয়ারম্যানের সাহায্যে আমার কাছের মানুষদেরকে হয়রানি করা শুরু করে।
আল্লাহর রহমতে তারাও কিছু টাকা খরচ করে জেল থেকে ছাড়া পায়। তারপর তারা এক এক করে আমার পরিবারের অনেক মানুষকেই হয়রানি করে। তবুও আমি আসতে পারিনি আমার পরিবারের মানুষের দুর্দিনে। তারপর আমি গোপালগঞ্জের এক জায়গায় স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করি। আজকে আমাদের ভালোবাসার এক বছর পূর্ণ হল। আমার স্ত্রীর একটি ফুটপুটে সুন্দর ছেলে সন্তান হয়েছে। এখন আমি আমার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ঢাকা হাইকোর্টে জামিন নেই আমার নামে করা মিথ্যা মামলার। সেখানেও আমার অনেক টাকা খরচ হয়।
আল্লাহর রহমতে আমি এতদিনে ফাইবার থেকে একটি ভালো টাকা ইনকাম করি। বাচ্চা হওয়ার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথেও আমার ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারাও বাড়ি চলে আসতে বলে। কিন্তু আমি আসিনি কোটের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করে আমি আসি। এখন তারাও আমাকে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর রহমতে আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পেয়ে অনেক সুখে আছি। তাকে আমি কখনো কষ্ট পেতে দেইনি। আমাদের জন্য আপনারা সকলেই দোয়া করবেন
সর্বশেষ কথা
সত্যিকারের ভালবাসলে কখনোই তা মিথ্যা হবে না। আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে পাবেন। তাই ভালবাসলে কখনো হাত ছাড়বেন না। দেখবেন আপনার ভালবাসা সার্থক হয়েছে। এ ধরনের আরো ভালোবাসার গল্প পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।