নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি, ক্যাপশন ও কবিতা
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ একটি । মহান রাব্বুল আলামিন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নামাজ ফরজ করেছেন । একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করা উচিত । কারণ নামাজ একজন মুসলমানের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তারা সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে দূরে চলে যায় এবং ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পায় । একমাত্র নামাজের মধ্যে থাকলেই মানুষ সকল ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ থেকে বিরত থাকে । আপনি যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে নামাজের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে চান দেখবেন আপনার মনের আশা পূর্ণ হবে ।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে মন ভালো থাকবে । তাইতো নামাজ নিয়ে অনেকেই স্ট্যাটাস উক্তি এবং ক্যাপশন অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে । আপনারা যারা নামাজ নিয়ে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন । আশা করছি তাহলে আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন ।
নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস
হাদিসে বর্ণিত রয়েছে নামাজ জান্নাতে চাবি । তাই নামাজ ছাড়া জান্নাতের কথা চিন্তা করা অসম্ভব । বাস্তব জীবনে আমরা যতই গুনাহ করি না কেন মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমরা যদি নামাজের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে থাকি তিনি আমাদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিবেন না । আর সর্বপ্রথম কেয়ামতের ময়দানে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে । তাই একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের নামাজ পড়া আবশ্যক । নামাজের মাধ্যমেই একজন খারাপ ব্যক্তি ভালোর দিকে ধাবিত হয় । যদি কোনো ভালো ব্যক্তি নামাজ বাদ দিয়ে থাকে তাহলে দেখবেন সে নানা ধরনের অপকর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে যাবে ।
তাই নামাজ বাদ দিবেন না । যে নামাজ পড়বে তার এপারের চেয়ে ওপারের জীবন আরো বেশি সুন্দরময় হবে । তাইতো নামাজ নিয়ে বিভিন্নজন ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন ধরনের উক্তি করে গেছেন বা হাদিসেও অনেক স্ট্যাটাস রয়েছে নামাজ সম্পর্কে সে উক্তি গুলো আজকে আমি তুলে ধরবো । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস সম্পর্কে ।
সলাতের জন্যে অপেক্ষমাণ ব্যাক্তি সলাতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
মানুষের ঈমান এবং শিরক ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য হলো সলাত পরিহার করা।
হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনগুলোতে সাওম পালন করা এবং রাতের বেলা সলাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া এই পৃথিবীর আর কোন কিছুকে ছেড়ে যেতে আমি দুঃখবোধ করি না।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম। সুতরাং, জেগে উঠুন এবং নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অহং (ইগো) থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।
তারিক রামাদান
ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন।
আল হাদিস
নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
আল হাদিস
কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন।
আল হাদিস
কোন পাপের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা।
আল হাদিস
নামাজ নিয়ে উক্তি
যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে সে ব্যক্তি আল্লাহর একজন প্রিয় বান্দা । তাই আপনি যদি আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে চান অবশ্যই আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করতে হবে । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকার রয়েছে । আমরা অনেকেই নিয়মিত ব্যায়াম করি যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি তাহলে আমাদের ব্যায়াম করার প্রয়োজন হবে না কারণ নামাজের মাধ্যমেই আমাদের শরীরের ব্যায়াম হয়ে থাকে । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আমাদের ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ রয়েছে । অবশ্যই এই 17রাকাত ফরজ নামাজ আমরা নামাজের শহীদ আদায় করে থাকবো । আর নামাজ নিয়ে এখন আমি আমার মাধ্যমে কিছু উক্তি তুলে ধরব । আপনারা যারা নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো পেতে চান আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন ।
ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। –
সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫
হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন। –
সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে । আর আল্লাহ্র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। –
সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮
আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। –
সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪
নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬
সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১
হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।
সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭
আমি জান্নাতের চেয়ে নামাজকে বেশি ভালোবাসি । কারণ জান্নাতের সুখ আমার নিজের জন্য আর নামাজ আমার মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য।
হযরত আলী ( রাঃ)
আল্লাহর যিকরে, সলাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না।
আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
আল্লাহর শপথ! যদি আমি না খেয়ে সারাদিন রোযা রাখি, সারারাত না ঘুমিয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে থাকি, আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করি; এরপর যদি যারা আল্লাহকে মেনে চলেন এমন মানুষদের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা না রেখে এবং যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের প্রতি অন্তরে ঘৃণা না রেখে মারা যাই ; সেই কাজগুলো আমাকে একটুও উপকৃত করবে না।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও নামাজিদের মধ্যে কোন পর্দা থাকে না।
আল হাদিস
সলাত জান্নাতের চাবিকাঠি।
হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
আল হাদিস
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।
সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩
নামাজ নিয়ে ক্যাপশন
নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি এবং নিরাপদ জীবনের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি । মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের দ্বীনের পথে চলার তৌফিক দান করেন । যতদিন বেঁচে থাকবো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারি । ইসলাম বিমুখ যেন হয়ে না যাই । এজন্য আমাদের প্রত্যেকদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে । তাই তো অনেকে আছেন যারা নামাজ নিয়ে ক্যাপশন সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন । আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে মাধ্যমিক খুব সহজেই নামাজ নিয়ে ক্যাপশনগুলো পেয়ে যাবেন ।
নামাজ নিয়ে অধ্যয়ন করুন, আপনার স্পিরিটুয়াল জীবন সমৃদ্ধ করুন।
নামাজে আপনার দুঃখ এবং চিন্তা ভিজিয়ে দিন, আশীর্বাদ পেতে প্রস্তুত হন।
নামাজের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আত্ম-সাক্ষরতা অর্জন করুন।
নামাজ নিয়ে দিনের প্রথম এবং শেষে আপনার দুয়া করুন।
নামাজের শান্তির সাথে হৃদয় মন্দন করুন।
নামাজে পৌঁছানো হোক মানবতার উজ্জ্বল পথে।
নামাজের মাধ্যমে আপনি আপনার আত্মবিকাশ করতে পারেন।
সাজগোজার নামাজে মন শুদ্ধ করুন, আত্মা শান্ত করুন।
নামাজ নিয়ে গজল
আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে সুন্দর একটি গজল তুলে ধরবো । আশা করি আমাদের দেয়া গজলটি আপনাদের সকলেরই পছন্দ হবে । আপনারা অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে সহিত আদায় করবেন । তাহলে দেখবেন আপনার জীবন পরিবর্তন হয়ে গেছে । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক নামাজ নিয়ে গজলটি ।
নামাজকে বলোনা কাজ আছে গজলের লিরিক্স
নামাজকে বলোনা কাজ আছে
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে।
নামাজকে বলোনা কাজ আছে
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে।
নামাজ বিহীন পরপারে
কি জবাব দিবে তুমি প্রভুর কাছে।
ফজর কাটে ঘুমের ঘোরে
জোহর কাটে কাজে,
আসর কাটে খেলায় ধুলায়
মাগরীব মাঝে মাঝে।
ফজর কাটে ঘুমের ঘোরে
জোহর কাটে কাজে,
আসর কাটে খেলায় ধুলায়
মাগরীব মাঝে মাঝে।
এশার সময় হয়ে এলে
থাকো মিছে দুনিয়ার পিছে।
নামাজকে বলো না কাজ আছে
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে।–দুইবার
নামাজ বিহীন পরপারে
কি জবাব দিবে তুমি প্রভুর কাছে।
প্রভুর হুকুম মানোরে ভাই
থাকো তুমি যেথায়,
সময় গেলে পাবেনা ফিরে
মরন তোমায় লইবে ঘিরে।
প্রভুর হুকুম মানোরে ভাই
থাকো তুমি যেথায়,
সময় গেলে পাবেনা ফিরে
মরন তোমায় লইবে ঘিরে।
জেনে রেখো মরন তোমার
অতি কাছে।
নামাজকে বলো না কাজ আছে
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে।
নামাজ বিহীন পরপারে
কি জবাব দিবে তুমি প্রভুর কাছে।
নামাজকে বলো না কাজ আছে
কাজকে বলো আমার নামাজ আছে।—দুইবার
সর্বশেষ কথা
আমরা সকলেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করব । যতদিন বেঁচে থাকবো ইসলামের পথে থাকব । নবী রাসূলগণ অনেক দেখানো পথে চলবে । আমরা যেন কখনো পথভ্রষ্ট না হই মহান রব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ করব । আর আপনি আমার পোস্টের মাধ্যমে নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, উক্তি,, ক্যাপশন ও গজল তুলে ধরেছি । আশা করছি আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন । এ ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন । আমাদের ওয়েবসাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ।