গণিতের সকল সূত্র সমূহ 2024
হ্যালো ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম । আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে গণিতে সকল সূত্র সমূহ তুলে ধরব । অংকের মূল হচ্ছে সূত্র । আপনার যদি অংকের সূত্র জানা না থাকে তাহলে কখনোই আপনি একটি সঠিক অংক করতে পারবেন না । তাইতো করতে অংক হলে অবশ্যই আপনাকে সেই অংকে সূত্র জানতে হবে । আমাকে বিভিন্ন ধরনের সূত্র থাকে যেমন বীজগণিতের সূত্র, পাটিগণিতের সূত্র, ত্রিকোণমিতির সূত্র, আয়তক্ষেত্রের সূত্র, বর্গক্ষেত্রের সূত্র, লসাগু গসাগু সূত্র আরো বিভিন্ন প্রকার সূত্র রয়েছে আপনি যদি সেই অংক গুলো করতে চান অবশ্যই সেই অংকের সূত্র সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে ।
তা না হলে কখনোই আপনি এই অঙ্গগুলো সঠিকভাবে করতে পারবেন না । অনেকেই আছে এই সূত্রগুলোর সঠিকভাবে পায় না বা কোথা থেকে সংগ্রহ করবে সে বিষয়েও জানে না ।তাই তারা অনলাইনে গণিতের সূত্রগুলো সম্পর্কে জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করে থাকে ।আপনারা যেন খুব সহজেই এই অংক গুলো পেয়ে যান তাইতো আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি আমার পোস্টের মাধ্যমে গণিতের সূত্র সমূহ তুলে ধরব ।
আশা করছি আপনারা আমাদের পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই গণিতের সূত্র সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন ।আর এই সূত্র সমূহ আপনি খুব সহজেই আয়ত্ত করতে পারবেন ।আর যদি এই সূত্র সমূহ আর করতে পারে তাহলে যেকোনো অংক খুব সহজেই করতে পারবেন ।তাই আসুন জেনে নেয়া যাক গণিতের সূত্র সমূহ সম্পর্কে ।
আয়তক্ষেত্রের সূত্র সমূহ
আপনি কি আয়তক্ষেত্রের সূত্র সমূহ সম্পর্কে জানতে চান । তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্ট আপনাকে স্বাগতম । আপনারা যারা আয়তক্ষেত্রের অংক করতে চান অবশ্যই আপনাকে আয়তক্ষেত্রের সূত্র সম্পর্কে জানতে হবে । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক আয়তক্ষেত্রের সূত্র সম্পর্কে । এই সূত্রসমূহ সম্পর্কে জানলে খুব সহজেই আপনি আয়তক্ষেত্রের অংকগুলো করতে পারবেন । তাই আসুন জেনে নেয়া যাক আয়তক্ষেত্রের সূত্র সমূহ সম্পর্কে ।
- আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ) বর্গ একক
- আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = 2 (দৈর্ঘ্য+প্রস্থ)একক
- আয়তক্ষেত্রের কর্ণ = √(দৈর্ঘ্য²+প্রস্থ²)একক
- আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য= ক্ষেত্রফল÷প্রস্ত একক
- আয়তক্ষেত্রের প্রস্ত= ক্ষেত্রফল÷দৈর্ঘ্য একক
ত্রিকোণমিতির সূত্র সমূহ
sinθ=लম্ব/অতিভূজ
2. cosθ=ভূমি/অতিভূজ
3. taneθ=लম্ব/ভূমি
4. cotθ=ভূমি/লম্ব
5. secθ=অতিভূজ/ভূমি
6. cosecθ=অতিভূজ/লম্ব
7. sinθ=1/cosecθ, cosecθ=1/sinθ
8. cosθ=1/secθ, secθ=1/cosθ
9. tanθ=1/cotθ, cotθ=1/tanθ
10. sin²θ + cos²θ= 1
11. sin²θ = 1 – cos²θ
12. cos²θ = 1- sin²θ
13. sec²θ – tan²θ = 1
14. sec²θ = 1+ tan²θ
15. tan²θ = sec²θ – 1
16, cosec²θ – cot²θ = 1
17. cosec²θ = cot²θ + 1
18. cot²θ = cosec²θ – 1
গুণের সূত্র সমূহ
গুণফল =গুণ্য × গুণক
গুণক = গুণফল ÷ গুণ্য
গুণ্য= গুণফল ÷ গুণক
ভাগের সূত্র সমূহ
নিঃশেষে বিভাজ্য না হলে:
1.ভাজ্য= ভাজক × ভাগফল + ভাগশেষ।
2.ভাজ্য= (ভাজ্য— ভাগশেষ) ÷ ভাগফল।
3.ভাগফল = (ভাজ্য — ভাগশেষ)÷ ভাজক।
*নিঃশেষে বিভাজ্য হলে।
4.ভাজক= ভাজ্য÷ ভাগফল।
5.ভাগফল = ভাজ্য ÷ ভাজক।
6.ভাজ্য = ভাজক × ভাগফল।
ভগ্নাংশের ল.সা.গু ও গ.সা.গু সূত্র সমূহ
1.ভগ্নাংশের গ.সা.গু = লবগুলাের গ.সা.গু / হরগুলাের ল.সা.গু
2.ভগ্নাংশের ল.সা.গু =লবগুলাের ল.সা.গু /হরগুলার গ.সা.গু
3.ভগ্নাংশদ্বয়ের গুণফল = ভগ্নাংশদ্বয়ের ল.সা.গু × ভগ্নাংশদ্বয়ের গ.সা.গু
বীজগণিতের সূত্র সমূহ
বীজগণিত অংকের মূল হচ্ছে তার সূত্র । আপনি যদি বীজগণিতের সূত্র না জানে তাহলে কখনোই একটি বীজগণিত অংক করতে পারবেন না । এ কারণে অবশ্যই আপনাকে বীজগণিত অংক সম্পর্কে ধারণা রাখতে হলে অবশ্যই বীজগণিতের সূত্র সর্বপ্রথম মুখস্থ রাখতে হবে । তা না হলে কখনোই আপনি একটি বীজগণিত অংক সঠিকভাবে করতে পারবেন না । এ কারণে বীজগণিতের সূত্র সমূহ সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী । আপনারা যারা বীজগণিত অংক করতে চান বা বীজগণিতের সূত্র সমূহ সম্পর্কে জানতে চান আশা করছি তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হতে পারবেন । আর আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে খুব সহজেই বীজগণিতের সূত্র সমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন । তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক বীজগণিতের সূত্র সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য ।
1.(a+b)²= a²+2ab+b²
2. (a+b)²= (a-b)²+4ab
3. (a-b)²= a²-2ab+b²
4. (a-b)²= (a+b)²-4ab
5. a² + b²= (a+b)²-2ab.
6. a² + b²= (a-b)²+2ab.
7.a²-b²= (a +b)(a -b)
8.2(a²+b²)= (a+b)²+(a-b)²
9. 4ab = (a+b)²-(a-b)²
10. ab = {(a+b)/2}²-{(a-b)/2}²
11. (a+b+c)² = a²+b²+c²+2(ab+bc+ca)
12. (a+b)³ = a³+3a²b+3ab²+b³
13. (a+b)³ = a³+b³+3ab(a+b)
14. a-b)³= a³-3a²b+3ab²-b³
15. (a-b)³= a³-b³-3ab(a-b)
16. a³+b³= (a+b) (a²-ab+b²)
17. a³+b³= (a+b)³-3ab(a+b)
18. a³-b³ = (a-b) (a²+ab+b²)
19. a³-b³ = (a-b)³+3ab(a-b)
20. (a² + b² + c²) = (a + b + c)² – 2(ab + bc + ca)
21. 2 (ab + bc + ca) = (a + b + c)² – (a² + b² + c²)
22. (a + b + c)³ = a³ + b³ + c³ + 3 (a + b) (b + c) (c + a)
23. a³ + b³ + c³ – 3abc =(a+b+c)(a² + b²+ c²–ab–bc– ca)
24. a3 + b3 + c3 – 3abc =½ (a+b+c) { (a–b)²+(b–c)²+(c–a)²}
25.(x + a) (x + b) = x² + (a + b) x + ab
26. (x + a) (x – b) = x² + (a – b) x – ab
27. (x – a) (x + b) = x² + (b – a) x – ab
28. (x – a) (x – b) = x² – (a + b) x + ab
29. (x+p) (x+q) (x+r) = x³ + (p+q+r) x² + (pq+qr+rp) x +pqr
30. bc (b-c) + ca (c- a) + ab (a – b) = – (b – c) (c- a) (a – b)
31. a² (b- c) + b² (c- a) + c² (a – b) = -(b-c) (c-a) (a – b)
32. a (b² – c²) + b (c² – a²) + c (a² – b²) = (b – c) (c- a) (a – b)
33.a³ (b – c) + b³ (c-a) +c³ (a -b) =- (b-c) (c-a) (a – b)(a + b + c)
34.b²-c² (b²-c²) + c²a²(c²-a²)+a²b²(a²-b²)=-(b-c) (c-a) (a-b) (b+c) (c+a) (a+b)
35. (ab + bc+ca) (a+b+c) – abc = (a + b)(b + c) (c+a)
36.(b + c)(c + a)(a + b) + abc = (a + b +c) (ab + bc + ca)
গড় নির্ণয় সূত্র সমূহ
1.গড় = রাশি সমষ্টি /রাশি সংখ্যা
2.রাশির সমষ্টি = গড় ×রাশির সংখ্যা
3.রাশির সংখ্যা = রাশির সমষ্টি ÷ গড়
4.আয়ের গড় = মােট আয়ের পরিমাণ / মােট লােকের সংখ্যা
5.সংখ্যার গড় = সংখ্যাগুলাের যােগফল /সংখ্যার পরিমান বা সংখ্যা
6.ক্রমিক ধারার গড় =শেষ পদ +১ম পদ /2
সুদকষার পরিমান নির্নয়ের সূত্র সমূহ
সুদ = (সুদের হার×আসল×সময়) ÷১০০
2. সময় = (100× সুদ)÷ (আসল×সুদের হার)
3. সুদের হার = (100×সুদ)÷(আসল×সময়)
4. আসল = (100×সুদ)÷(সময়×সুদের হার)
5. আসল = {100×(সুদ-মূল)}÷(100+সুদের হার×সময় )
6. সুদাসল = আসল + সুদ
7. সুদাসল = আসল ×(1+ সুদের হার)× সময় |[চক্রবৃদ্ধি সুদের ক্ষেত্রে]।
লাভ-ক্ষতির এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সূত্র সমূহ
লাভ = বিক্রয়মূল্য-ক্রয়মূল্য
2.ক্ষতি = ক্রয়মূল্য-বিক্রয়মূল্য
3.ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্য-লাভ
অথবা
ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্য + ক্ষতি
4.বিক্রয়মূল্য = ক্রয়মূল্য + লাভ
অথবা
বিক্রয়মূল্য = ক্রয়মূল্য-ক্ষতি
সরল সুদ সূত্র সমূহ
যদি আসল=P, সময়=T, সুদের হার=R, সুদ-আসল=A হয়, তাহলে
1.সুদের পরিমাণ= PRT/100
2.আসল= 100×সুদ-আসল(A)/100+TR
নৌকার গতি স্রোতের অনুকূলে ঘন্টায় 10 কি.মি. এবং স্রোতের প্রতিকূলে 2 কি.মি.। স্রোতের বেগ কত?
রোমান সংখ্যা
1:I
2: II
3: III
4: IV
5: V
6: VI
7: VII
8: VIII
9: IX
10: X
11: XI
12: XII
13: XIII
14: XIV
15: XV
16: XVI
17: XVII
18: XVIII
19: XIX
20: XX,30: XXX,40: XL,50: L,60: LX,70: LXX,80: LXXX
90: XC,100: C,200: CC,300: CCC,400: CD,500: D,600: DC
700: DCC,800: DCCC,900: CM,1000:M
বর্গক্ষেত্র সূত্র সমূহ
1.বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (যে কোন একটি বাহুর দৈর্ঘ্য)² বর্গ একক
2.বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা = 4 × এক বাহুর দৈর্ঘ্য একক
3.বর্গক্ষেত্রের কর্ণ=√2 × এক বাহুর দৈর্ঘ্য একক
4.বর্গক্ষেত্রের বাহু=√ক্ষেত্রফল বা পরিসীমা÷4 একক
ত্রিভূজ সূত্র সমূহ
1.সমবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = √¾×(বাহু)²
2.সমবাহু ত্রিভূজের উচ্চতা = √3/2×(বাহু)
3.বিষমবাহু ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল = √s(s-a) (s-b) (s-c)
এখানে a, b, c ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য, s=অর্ধপরিসীমা
পরিসীমা 2s=(a+b+c)
4সাধারণ ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = ½
(ভূমি×উচ্চতা) বর্গ একক
5.সমকোণী ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = ½(a×b)
এখানে ত্রিভুজের সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয় a এবং b.
6.সমদ্বিবাহু ত্রিভূজের ক্ষেত্রফল = 2√4b²-a²/4 এখানে, a= ভূমি; b= অপর বাহু।
7.ত্রিভুজের উচ্চতা = 2(ক্ষেত্রফল/ভূমি)
8.সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ =√ লম্ব²+ভূমি²
9.লম্ব =√অতিভূজ²-ভূমি²
10.ভূমি = √অতিভূজ²-লম্ব²
11.সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের উচ্চতা = √b² – a²/4
এখানে a= ভূমি; b= সমান দুই বাহুর দৈর্ঘ্য।
12.ত্রিভুজের পরিসীমা=তিন বাহুর সমষ্টি
সর্বশেষ কথা,
আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে গণিতের কিছু সূত্র সমূহ তুলে ধরেছি । আরো কিছু সূত্র সমূহ বাকি রয়েছে সেগুলো আমি অন্য পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরব । আপনারা যারা গণিতের এই সূত্র সমূহ গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন । আশা করছি তারা খুব সহজে আমাদের পোষ্টের মাধ্যমে গণিতের এই সূত্রসমূহ গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন । এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আনন্দ ওয়েব সাইটে সাথেই থাকুন । আমাদের ওয়েব সাইটে পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ।